skip to main |
skip to sidebar
ধানমণ্ডি
৩২ নাম্বারে একটা বাড়ি রয়েছে।। এটা ১৯৫০ সালের দিকে তৈরি করা হয়।।
বাড়িটা ২তলা বিল্ডিং এবং এটা একটু ভিতরের দিকে।। বাড়ির পিছনেই রয়েছে
ধানমণ্ডি লেকের একটা অংশ।। ঘটনা যার কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে তিনি
জীবনের একটা বড় অংশ এই বাড়িতে কাটিয়েছেন।। তিনি ও তার ফ্যামিলি যখন এই
বাড়িটাতে থাকতেন তখন প্রতিরাতে ১২ টারপর লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কারো
পড়ার আওয়াজ পাওয়া যেতো।। তিনি/তারা আওয়াজ পাওয়ার পর শুধুই পানিতে ঢেউ
দেখতেন কিন্তু আসে পাশে কাউকে দেখা যেতো না।। এটা প্রতি রাতেই ঘটত লেকের
পানিতে।। এছাড়া বাড়ির মালিক একটা কুকুর কিনেছিলেন।। কিছুদিন পর কুকুরটা
অদ্ভুত সব ব্যাবহার করা শুরু করে।। কুকুরটা এক পর্যায়ে যাকে দেখত তাকেই
কামড়াতে যেতো।। অবস্থা বেগতিক হলে, কুকুরটাকে পশু ডক্টরের কাছে নিয়ে গেলে
তিনি জানান, কুকুরটা কোনো কিছুর উপর বিরক্ত বা কুকুরটাকে কিছু একটা
ডিস্টার্ব করে।। যার কারণে ভয় পেয়ে কুকুরটা এমন ব্যাবহার করছে এবং যাকে
সামনে পাচ্ছে তাকেই কামড়াতে যাচ্ছে।। বাড়ির মালিক দারোয়ানকে জিজ্ঞেস
করলেন যে, সে কুকুরটাকে মারে কিনা?? তখন দারোয়ান
জানালো সে কুকুরটাকে কখনো মারে নি।।তবে, প্রতিরাতে সে যখন বাড়িটা পাহারা
দিতে দাঁড়ায় তখন একটা কালো ছায়া পুরো বাড়িটা রাউন্ড দেয়।। ছায়াটা যখন
রাউন্ড দিতে থাকে তখন কুকুরটা সেই ছায়াটাকে দেখে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে এবং
ধরার চেষ্টা করতে থাকে।। দারোয়ানের ভাষ্যমতে,সেই ছায়াটা পুরো বাড়ি
রাউন্ড দেয়া হয়ে গেলে গেটের কাছে এসে একটা মানুষের আকৃতি ধারণ করে এবং
আস্তে আস্তে হেঁটে লেকের দিকে চলে যায়।। এই সময়ে কুকুরটা আর ছায়ামূর্তি/
মানুষটাকে তাড়া করতো না।। কুকুরটা দিনের বেশিরভাগ সময়েই ঘুমিয়ে থাকতো,
আর রাতে চেঁচামেচি করতো এবং যাকে দেখত তাকেই কামড়ানর চেষ্টা করতো।।
কুকুরটা এভাবে পুরোপুরি পাগল হয়ে যায় এবং সেটাকে বিক্রি করে দেয়া হয়।।
এছাড়া ঐ বাড়িতে আরো অনেক কিছুই ঘটত।। ধানমন্ডির ২৭ এ আরো একটা ভৌতিক
বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।। ঐ বাড়িতে মানুষ থাকে কিন্তু রাতের বেলা ঐ
বাড়িতে কোনো লাইট জ্বলে না।। কারা ঐ বাড়িতে থাকে এইটাও কেউ বলতে পারে
না।। ঐ বাড়ির দিকে যেতে সবাই ভয় পায়।। যারা যারা যাওয়ার চেষ্টা করেছে
তারা দেখেছেন যে, ঐ বাড়ির উপর অসংখ্য কাক উড়ে বেড়ায় এবং বাড়িটার দিকে
কাউকে এগুতে দেখলেই কাকগুলো একসাথে তারস্বরে চিৎকার করা শুরু করে।।
সংগৃহিত..
0 comments:
Post a Comment